হাজারদুয়ারি থেকে ৪ কিমি উত্তরে কাঠগোলা বাগান।
প্রবেশ গেটের সামনে দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে যে রাস্তাটি গেছে, ওই রাস্তার দু'ধারে একসময়
কাঠের গোলা ছিল। তাই জায়গাটির নাম কাঠগোলা। কালক্রমে ওই অঞ্চলটি জনবিরল হয়ে পড়ে। জিয়াগঞ্জের
রায় লছমিপত সিং দুগড় ওই অঞ্চলটি কিনে একটি বাগান বাড়ি তৈরি করেন। বাগানের বড়ো বড়ো অট্টালিকা
ও আদিনাথ মন্দির (জৈন মন্দির) তাঁর সময়ে নির্মিত হয়েছিল।
ওই দুগড় পরিবারের পূর্বপুরুষ
ছিলেন জগৎশেঠদের মুনিম। কাঠগোলা বাগানে একসময় গোলাপ, জুঁই, চামেলি ফুলের চাষ বিঘা বিঘা
করা হোত। সেই সময় কাঠগোলা বাগানের গোলাপের খুব নাম ডাক ছিল। এত বেশি পরিমাণে গোলাপ
ফুল অন্য কোথাও পাওয়া যেত না। কাঠগোলা বাগান সাজাতে লছমিপত, ছত্রপত ও শ্রীপত সিং দুগড়
অনেক টাকা খরচ করেছিলেন। কথিত আছে, কাঠগোলা বাগানের পুর্বদিকে যে প্রাচীন মসজিদ ও কবরস্থান
আছে সেখানকার এক ইঁদারার কাছ থেকে দুগড় পরিবার প্রচুর গুপ্তধন পেয়েছিলেন। প্রাপ্ত সব
টাকায় তারা বাগান সাজাতে ও মন্দির নির্মাণ করতে খরচ করেছিলেন। সেকালে কাঠগোলা বাগানে
জলসা হোত এবং অনেক লোকের সমাগম হোত। বর্তমানে কাঠগোলা বাগান একটি দর্শনীয় স্থান। অট্টালিকা,
সংগ্রহশালা, গোপন সুরঙ্গপথ, আদিনাথ মন্দির, ডান্সফ্লোর, বাঁধানো পুকুর সব কিছু নিয়ে
এক সুন্দর সিনেমা সুটিং লোকেশনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দুগড় পরিবারের বংশধর কলকাতায়
বসবাস করেন।
সুত্র বা কোথা থেকে নেয়া হয়েছে লেখা গুলো জানতে পারা গেলে আপনার পোস্ট টি আরও মূল্যবান হবে আসা করি
ReplyDelete